নুর-মামুনদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে: পুলিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অব্যাহতি প্রাপ্ত আহবায়ক হাসান আল মামুনসহ সংগঠনটির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ কথা জানান লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামী ও নুরুল হক নূরকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করে রাজধানীর এই থানাতেই প্রথম মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। মামলা দায়েরের প্রায় ১২ দিন হতে চললেও এখনো কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর থেকেই আমরা মামলার প্রধান আসামী হাসান আল মামুনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।
মামলায় সহযোগী হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নাম রয়েছে। তিনি অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করছেন না কেন? জানতে চাইলে ওসি আরও বলেন, মামলার স্বার্থে যখন যাকে প্রয়োজন হবে, তখন তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ সংগঠনটির ছয় নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন।
এই মামলার তদন্ত করতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয়া হয়। প্রথম দফায় প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৭২ ঘণ্টার সময় বৃদ্ধি করা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর। এই মেয়াদেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। ফলে চতুর্থ বাড়ের মতো প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হলো।