রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া যায়নি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। তাতে যৌন হয়রানির অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ রয়েছে।
আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানির জন্য আগামী ১১ অক্টোবর দিন ঠিক করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। মঙ্গলবার এই আবেদন করা হলেও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পারেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চন্দ্রিমা থানার এসআই রাজু আহমেদ বলেন, চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৩ জন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানুর কাছে অধ্যাপক মোমনীনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিকভাবে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ দেন। এর দু’দিন পর অভিযোগকারী ছাত্রীদের মধ্যে একজন চন্দ্রিমা থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হায়রানির মামলা করেন।
তিনি বলেন, এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বাদীর এজহারে উল্লিখিত চারজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ এজহারে বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। এ কারণে আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য রাজশাহী মহানগর হাকিমের আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
এসআই রাজু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, এজাহারে বর্ণিত সময়ে আসামি উদয়ন নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং পরীক্ষায় পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহার দায়ের করায় আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কিন্তু এজাহারে বর্ণিত অভিযোগের ন্যূনতম সত্যতা পাইনি। এজন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছি। প্রতিবেদনের সঙ্গে বিভাগের সভাপতিসহ ১১ জন শিক্ষক, সাতজন শিক্ষার্থীসহ ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি যুক্ত করা হয়েছে।