তদন্তের নামে ভুক্তভোগী ঢাবি ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তদন্ত কমিটি। তারা বলছেন, তদন্তের স্বার্থেই ওই ছাত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই/তিনদিন পূর্বে তদন্ত কমিটির প্রধান বিন ইয়ামিন মোল্লা ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা এবং ভাইকে ফোন করে নানা বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন করেন। এর ফলে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার হীনমন্যতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে জানান, ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আমার কাছে রাফিয়া রাফি ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জেনেছে। এর পরও তদন্তের নামে বিন ইয়ামিন মোল্লা আমার বাবা-ভাইয়ের কাছে কি জানতে চায় সেটা আমার জানা নেই। তদন্তের নামে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যকে ফোন করে এভাবে হয়রানি করার কোনো মানে হয় না।
তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান জানিয়ে ওই ছাত্রী আরও বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটি নিরপেক্ষ না। কেননা আমি মামলা করার পরই কমিটির প্রধান বিন ইয়ামিন মোল্লা আমার বিরুদ্ধে ঢাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন। এই কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান।
তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই আমাদের সংগঠনের নামে এই অপপ্রচার করছেন ওই ছাত্রী। যেহেতু তার অভিযোগ হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে। তাই তিনি শুধু তার মধ্যে বিষয়টি রাখলেই পারতেন। এখানে সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা ঠিক হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থেই তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। এটিকে যদি সে হয়রানি মনে করে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ সংগঠনটির ছয় নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ এনে রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন।