ধর্ষণকারীরা কীভাবে হোস্টেলে ছিলেন— প্রশ্ন লেখকের
করোনাকালীন সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধা থাকায় সঙ্গত কারণেই এসব প্রতিষ্ঠানের হল এবং হোস্টেল খোলা থাকার কথা নয়। তা সত্ত্বেও এমসি কলেজে স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা কিভাবে কলেজের হোস্টেলে ছিলেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
আজ রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ পূববর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, করোনাকালীন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি না। তারা কিভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছে এটা আমাদের বোধগম্য নয়।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে আমাদের ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। আমাদের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু মেইন্টেন করতে হয়। তাদের বয়স থাকা লাগে, তাদের ছাত্রত্ব থাকতে হয়, তারপর ছাত্রলীগের আদর্শ ধারণ করার পরে সে ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারবে।
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত কয়েক দিনে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য আমাদের এই বিক্ষোভ। আমরা চাই, তাদের শাস্তির মাধ্যমে যেন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। দুষ্কৃতিকারীরা যাতে অপকর্ম করার সাহস না পায়। সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ধর্ষক যেই হোক না এটাকে রাজনৈতিক রূপ না দিয়ে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এ বিক্ষোভ করছেন তারা।