ঢাবি ছাত্রীর অভিযোগ তদন্ত করবে নুর-মামুনের সহযোগীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯:৪৮ AM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১৮ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলা দুটিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও অভিযোগ করা হয়।
এই দুই মামলার মূল আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন ও পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান। মামলার পর প্রথমদিনেই নুরসহ ছয়জনকে আটক করায় এ নিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদসহ নানা নাটকীয়তা হয়েছে। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে মামলার দুইদিনেও হাসান আল মামুন কোনো বক্তব্য-বিবৃতি না দেওয়ায় নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রীক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে অনেকে নানা ধরনের অভিযোগ তুলছেন। তাদের মতে, ঘটনা সত্য-মিথ্যা যাইহোক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা জরুরি।
এ বিতর্কের মধ্যেই অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বিশেষ করে হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসানের বিষয়ে অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় সেগুলো তদন্তে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আজই এই কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র জানায়।
জানা গেছে, তদন্ত শুরু হওয়ার পর হাসান মামুনের স্থলে অন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সেটি যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন কিংবা ফারুক হোসেন হতে পারেন। এরমধ্যে মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। অন্য কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ফারুক হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা সবাই বসে এ অভিযোগ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিন অথবা পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি হতে পারে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের অব্যাহতি দেওয়া হবে। এছাড়া তদন্তকালে অন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়। এতে নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তার আগে গত রোববার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকির অভিযোগে নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ওই মামলা করেন।ওই ছাত্রীই কোতোওয়ালী থানার মামলাটিও করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী। লালবাগ থানার মামলার বর্ণনায় ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের সঙ্গে প্রেম ও প্রণয়ের কথা জানিয়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী। একই তরুণীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মূল আসামি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান।
আর তিন নম্বর আসামি নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী।
মামলায় বিবরণে বলা হয়েছে, কোতোওয়ালি এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে।