এখনও ডিবি হেফাজতে নুর
নুরুল হককে এখনো তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিনি সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তিনি জানান, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা চলছে।
রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জদুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরসহ ৭ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তারা রাস্তা আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরে তারা পুলিশের উপর হামলা করলে নুর সহ ৭ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
রমনার ডিসি আরও জানান, তারা মশাল মিছিল করে। জঙ্গী মিছিলের মতো করে মিছিল করছিল রাস্তা বন্ধ করে। মূল রাস্তা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়। তারা একদফা রাস্তা ছাড়ার পর আমরা পুনরায় রাস্তা দখল না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা তা অমান্য করে পুনরায় রাস্তা দখল করে। সে সময় নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহবাগের মৎস ভবন এলাকা থেকে নুরসহ তার ৬ জন অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, নুরের নামে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মৎস্য ভবন এলাকা থেকে নূরসহ মোট সাত জনকে বিক্ষোভরত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়ে।
জানা যায়, নুরদের বিরুদ্ধে করা এই মামলা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সমাবেশ শেষে মিছিলটি শাহবাগ হয়ে মৎস ভবনের দিকে গেলে সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রবিবার রাতে ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করে রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল-মামুন (১৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (১৮), সাইফুল ইসলাম (১৮), নাজমুল হুদা (২৫) ও আব্দুল্লাহ হিল কাফি (২৩)।