ঢাকা মেডিকেলে নুর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:২৩ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:২৭ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে গ্রেপ্তারের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রাত ১০ টার দিকে নুর ও তার এক সহযোগীকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুরসহ দুইজনকে ডিবি সদস্যেরা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। আরেক জনের নাম সোহরাব হোসেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জদুর রহমান বলেন, তারা রাস্তা আটকিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। পরে তারা পুলিশের উপর হামলা করলে নুরসহ ৭ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
তিনি জানান, তারা মশাল নিয়ে জঙ্গি মিছিলের মতো করে মিছিল করছিল রাস্তা বন্ধ করে। মূল রাস্তা দখল করায় যানজট সৃষ্টি হয়। তারা একদফা রাস্তা ছাড়ার পর আমরা পুনরায় রাস্তা দখল না করার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা তা অমান্য করে পুনরায় রাস্তা দখল করে। সে সময় নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ৭ থেকে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরপর তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহবাগের মৎস ভবন এলাকা থেকে নুরসহ তার ৬ জন অনুসারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, নুরের নামে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মৎস্য ভবন এলাকা থেকে নূরসহ মোট সাত জনকে বিক্ষোভরত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়ে।
জানা যায়, নুরদের বিরুদ্ধে করা এই মামলা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা। এসময় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সমাবেশ শেষে মিছিলটি শাহবাগ হয়ে মৎস ভবনের দিকে গেলে সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রবিবার রাতে ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করে রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাসান আল-মামুন (১৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (১৮), সাইফুল ইসলাম (১৮), নাজমুল হুদা (২৫) ও আব্দুল্লাহ হিল কাফি (২৩)।