২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:১২

মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করলেন ঢাবি ছাত্রী

ধর্ষক মজনু  © ফাইল ফটো

আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মো. মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ধর্ষিত ছাত্রী। আজ সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সাক্ষ্যে ঘটনার বর্ণনার শেষ পর্যায়ে মজনুকে ধর্ষক বলে ওই ছাত্রী শনাক্ত করেন বলে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ জানিয়েছেন। সাক্ষ্য দেওয়ার পর তাকে জেরা করেন আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম।

জজ আদালত ভবনে অবস্থিত এই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য নেওয়ার সময় অন্য কাউকে এজলাসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় আসামি মজনুকে। রবিবার মামলার বাদী ওই ছাত্রীর বাবার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার বিচার শুরু হয়।

চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।

ওই ছাত্রীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ১৬ জানুয়া‌রি তিনি আদালতে স্বীকারো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দি দেন।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক আদালতে অভি‌যোগপত্র দা‌খিল ক‌রেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপ‌ক্ষে সাক্ষী করা হয় ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।

গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। তখন মজনু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।