২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫২

নুরদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ (ভিডিও)

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে সংগঠনটির নেতারা।

বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজুভাস্কর্যের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ রাশেদ খান, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, সোহরাব হোসেনসহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক নুরসহ আমাদের সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধ করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বারবার আমাদেরকে দমন করার জন্য এভাবে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু তারা এসব প্রমাণ করতে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে।

রাশেদ খান বলেন, আমাকেও ভিসির বাসভবনে হামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটিও প্রমাণ করতে পারেনি। এছাড়া এরআগেও বিএনপির তারেক রহমানের সাথে নুরুল হক নুরের ভুয়া চ্যাটিং ভাইরাল করে আমাদের দমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদের কোন হামলা-মামলা দিয়ে দমানো যাবে না।

এর আগে গতকাল রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রী রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ও এজহার থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নবাবগঞ্জ রোডের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুন, যিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন নুরুল হক নুর। নুরের বক্তব্য, আমি এখনও মামলার পুরো বিষয় জানি না। কে এই মামলার বাদী? কারা এর আসামী। এগুলো নিয়ে বিচলিত হতে চাই না। তিনি বলেন, এটা সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। হয়তো মামলাকারী ছাত্রলীগের নেত্রী। তাকে টাকা দেয়ার বিনিময়ে এই মামলাটি করানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে লালবাগ থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, হাসান আল মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। তার সাথে আরও পাঁচজনকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে নুর তিন নম্বর।