হলের বাসা না ছেড়ে শিক্ষা ছুটিতে ঢাবি শিক্ষক, সিলগালার অভিযোগ
হলের কোয়ার্টার না ছেড়ে শিক্ষা ছুটি নিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদভুক্ত ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের এক প্রভাষক। নাম মোঃ সামিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক তিনি।
জানা গেছে, প্রায় তিনবছর আগে সামিউল পিএইচডি থিসিস সম্পন্ন করার জন্য চীনে গিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার আগে হলের বাসার ছাড়পত্র দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু তিনি ছাড়পত্র দিয়ে যাননি। এ কারণে সম্প্রতি ওই বাসাটি সিলগালা করে দিয়েছে হল প্রশাসন। হলের একাধিক শিক্ষক বিষয়টি জানালেও ‘সিলগালা করা হয়নি’ বলে জানিয়েছেন হল প্রাধ্যক্ষ।
জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যদি কোন শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে অথবা কোন ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বিদেশে গমন করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হচ্ছে, আবাসিক হলের বাসা ছেড়ে দেওয়া। তারপরও আমরা যেহেতু গরীব রাষ্ট্রের লোক তাই বিভিন্ন মানবিক দৃষ্টিকোণ বিচার করে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত হলের বাসায় তার পরিবার থাকার ব্যবস্থা রাখি।
তিনি বলেন, তবে সামিউল ইসলাম দীর্ঘ তিন বছর বাইরে থেকেও কোন ছাড়পত্র দেননি। তাই আমরা হল কোয়ার্টার ছাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি; তবে এখনও সিলগালা করিনি। কোভিড-১৯ এর কারণে মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা আরও এক মাসের সময় দিয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ দেলোয়ার হোসেন (প্রশাসন-১) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক যদি শিক্ষা ছুটিতে অথবা অন্য কোন ডিগ্রি নেওয়ার জন্য দেশের বাহিরে যান তাহলে নিয়ম হলো- তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যে বাসা রয়েছে সেখানে অবস্থানকারী হয় তাহলে যতদিন তিনি দেশের বাহিরে থাকবেন ততদিন তার পরিবার ঐ কোয়ার্টারে থাকতে পারবেন। যদি পরিবার না থাকে শুধু মা-বাবা থাকে তাহলে থাকতে পারবে না।
আর কেউ যদি হল কোয়ার্টারে থাকেন তাহলে বিদেশে যাওয়ার আগে হলের বাসার ছাড়পত্র রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে হবে। যদি হলর প্রাধ্যক্ষ চান তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাস থাকার নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।
বাসা সিলগালা ও বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষক মোঃ সামিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।