ঋণ নয়, করোনায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি
করেনায় সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্টফোন ক্রয় করতে ঋণ দেয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। যা আবার পরবর্তীতে কিস্তিতে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় করোনায় শিক্ষার্থীদের জন্য ঋণমুক্ত বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্ট।
আজ বৃহস্পতিবার ফ্রন্টের শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বড় অংশের শিক্ষার্থীই মারাত্বক অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে যে সকল শিক্ষার্থী অসচ্ছল ছিলো তাদের সংকট আরো গভীর হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ অবস্থায় দরকার ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আর্থিক প্রনোদনা প্রদান। কিছু ডিপার্টমেন্ট নিজেদের উদ্যোগে কিছু সহযোগিতা প্রদান করলেও তা ছিলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই শিক্ষার্থীদের সংকট দুর হয়নি বরং যতদিন যাচ্ছে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
তারা বলেন, এরমধ্যে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মত চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। স্মার্টফোন না থাকায় ও ডাটা খরচ নির্বাহ করতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীই অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছে না। এমতাবস্থায় তাদের উপর ঋণ নামক বোঝা চাপিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণ অমানবিক ও অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজেদের শিক্ষা ও শিক্ষার্থী দাবি করলেও তাদের কোন কাজ ও সিদ্ধান্তে আমরা এর কোন অস্তিত্বই লক্ষ্য করি না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার সাথে ঋণ বিষয়টা অসঙ্গতিপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরেই এদেশের পুঁজিপতি গোষ্ঠী স্কুল থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তর পর্যন্ত ‘শিক্ষা ঋণ’ বিষয়টিকে জনপ্রিয় করানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা আরও বানিজ্যিক পণ্যে পরিনত হবে, সংকটে পড়বে শিক্ষার্থীরা ও তাদের পরিবার।
ছাত্র ফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রশাসন বেনিয়াদের মত আচরণ করলে তা সত্যিই দুঃখজনক। তারা প্রশাসনের প্রতি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ ও স্মার্টফোন- ইন্টারনেটের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি করেন।