একরাতেই প্রাণ হারালেন ঢাবির দুই ছাত্র
একরাতেই প্রাণ হারালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন বিভাগের (এমআইএস) প্রাক্তন ছাত্র মইনুল হোসাইন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মইনুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের বিবিএ ১৫তম ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র। থাকতেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে। তিনি সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে।
একাধিক সূত্রে তার মৃত্যর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। মুইনুলের মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও বন্ধুমহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গেছে, মইনুল দীর্ঘদিন ধরেই ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি হাটা-চলা করতে পারতেন না। সম্প্রতি তার অবস্থার চরম অবনতি হলে তাকে রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
করোনা উপসর্গ নিয়ে ঢাবি ছাত্রের মৃত্যু
তবে তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করা পরিবারের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিও ছিলেন মইনুল। এজন্য তার পরিচিত বন্ধু ও স্বজনরা টাকা তুলে তার চিকিৎসার খরচের ব্যবস্থা করেন। এরমধ্যেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
এর আগে বুধবার রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরও এক ছাত্রের মৃত্যু হয়ে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাকন মিয়া নামের ওই মৃত্যু হয় বলে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টান্যাশনাল বিজনেস বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিলেন। করোনার বন্ধে নিজ এলাকায় রাজবাড়ীর পাংশাতেই ছিলেন কাকন মিয়া। এলাকার সহপাঠীদের নিয়ে করোনার লকডাউনের সময় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবারও পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।