‘র্যাগ ডে নিষিদ্ধ’ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি, যা বললেন ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগ ডে নিষিদ্ধ করে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর পর বিতর্কের মুখে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নতুন করে আবারও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন। গতকাল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে তুমুল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় আজ এ সংশোধনী দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়েরে জনসংযোগ দফতর থেকে আজ পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গতকাল বুধবার জনসংযোগ দফতর কর্তৃক প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাগ-ডে নিষিদ্ধ সংক্রান্ত তথ্যটি অসাবধানতাবশত ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য দুঃখিত।’
বিজ্ঞপ্তি বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গতকালের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অসাবধানবশত ভুল তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। এজন্য জনসংযোগ কর্মকর্তা ক্ষমা চেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় র্যাগ ডে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা পুনরায় গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।'
আজ পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মূলত একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছিল- র্যাগ ডে পালনের নামে ক্যাম্পাসে বা আবাসিক হলে অনাকাঙ্ক্ষিত, অমানবিক, অসৌজন্যমূলক, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী কোন আচরণ যাতে সংঘটিত না হয়, এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক নজর রাখার জন্য বলা হয়।’
এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা সমাপনী, গ্র্যাজুয়েশন উৎসব পালনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠান, উৎসব, বর্ণাঢ্য র্যালি ইত্যাদি আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করবে এই কমিটি। এজন্য ৫ সদস্যের কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে (প্রশাসন)।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন কলা অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
এর আগে র্যাগ ডে’কে ‘অমানবিক, নীতিবহির্ভুত ও নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘র্যাগ ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভুত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।