‘র্যাগিং’ না ‘র্যাগ ডে’, স্পষ্ট করলেন ঢাবি প্রক্টর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ‘র্যাগ ডে’ উদযাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
র্যাগ ডে’কে ‘অমানবিক, নীতিবহির্ভুত ও নিষ্ঠুর’ বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কথিত ‘র্যাগ ডে’ নামে অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভুত উৎসব আয়োজন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে ‘র্যাগ ডে’র সঙ্গে ‘অমানবিক’ ও ‘নিষ্ঠুর’ শব্দ উল্লেখ করায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বলতে থাকেন, হয়তোবা ‘র্যাগিং’ এর কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ‘র্যাগ ডে’-এর কথা লেখা হয়েছে। এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘র্যাগ ডে’ নামে ‘অমানবিক, নিষ্ঠুর ও নীতিবহির্ভুত’ হওয়ায় এটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি আগেও নিষিদ্ধ ছিল, মূলত সেটিই পুনরায় আহবান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অনেক পাঠক ‘র্যাগিং’ নাকি ‘র্যাগ ডে’ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এটা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘র্যাগিং’ আর ‘র্যাগ ডে’ দুইটাই মোটামুটি সম্পর্কিত। সভায় র্যাগ নিয়ে কিছু বলা হয়নি, র্যাগ ডে’র বিষয়েই বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, র্যাগ ডে’র নামে ক্যাম্পাসে উশৃংখল আচরণ বন্ধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ক্যাম্পাসে র্যাগিং প্রশাসনিকভাবে আগে থেকেই নিষিদ্ধ ছিল।
র্যাগ ডে সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় বলা আছে, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য তহবিল সংগ্রহের দিন বিভিন্ন প্যারেড বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করে থাকে, একে ‘Rag Day’ (র্যাগ ডে’ বোঝানো হয়েছে।