গবেষণায় ১০০-তে ৭, পাঠদানে ১৫ নম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস ২০২১’ প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ৯৩টি দেশের এক হাজার ৫০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি, গবেষণা এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
গত বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এ র্যাংকিং প্রকাশ করেছে সাময়িকীটি। এই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্থান হয়েছে। তাও এক হাজারের পরের তালিকায় রয়েছে। আর সেরা এক হাজার ৫০০-তে দেশের আর কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নেই।
মোট পাঁচটি সূচকে এই র্যাংকিং করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে টিচিং, রিসার্চ, সাইটেশন, ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম এবং ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক। এরমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে গবেষণার সূচকে। গবেষণায় মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৭।
এরপর টিচিংয়ে মোট ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ১৫ দশমিক ৩ পেয়েছে দেশের সবচেয়ে পুরোনো উচ্চশিক্ষার এই বিদ্যাপীঠটি। তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে ৩৩ দশমিক ৮, সাইটেশনে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ইন্টারন্যাশনাল আউটলুকে ৪২ দশমিক ৪ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, বৈশ্বিক প্যারামিটারে এটি রাতারাতি পরিবর্তন আনা সম্ভব। তবে আমাদের গবেষণা খাতকে এগিয়ে নিতে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে এটি বিশ্বমানের হয়।’
২০১৬ সালে এই র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে। ২০১৮ সালে তা পিছিয়ে ১০০০ এর পর চলে যায়। এরপর ২০১৯ এবং ২০২০ সালেও এ তালিকায় ঢুকতেই পারেনি বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়।
গত ৪ বছর ধরে এক নম্বরে থাকা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবারও তালিকায় সবার উপরেই রয়েছে। এরপর সেরা ৫ এ রয়েছে যথাক্রমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
টাইম হায়ার এডুকেশনের এই তালিকায় সংখ্যায় সবার ওপরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। প্রথম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি এবং বাকি দুইটি যুক্তরাজ্যের।