সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি: ইবির বিদায়ী ভিসি
গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ আগস্ট) থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ পদটি শূন্য হয়ে গেছে। এছাড়া ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহারও মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ।
এদিকে, উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী। সেখানে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানান অর্জন ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরছেন। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
নিচে অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারীর সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল—
“ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আজ আমার শেষ দিন। সুষ্ঠুভাবে চার বছর দায়িত্বপালন করতে পেরে সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাই পরম করুনাময় আল্লাহর প্রতি। অশ্রুঝরা আগস্টের এই দিনে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞতা জানাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি, যাঁরা আমাকে এই দায়িত্বপালনের উপযুক্ত মনে করে আস্থায় নিয়েছেলেন। কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতার জন্যে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের কাছে আমার অনিঃশেষ ঋণ। ছাত্রছাত্রীরা আমার সকল প্রেরণার উৎস। তাদের ভালোবাসা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। তাদের সান্নিধ্য পেতে উপাচার্যের চরম কর্মব্যস্ত দিনগুলোতেও ক্লাস বিচ্ছিন্ন থাকিনি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি নিষ্ঠা ও সততার সাথে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিক এবং একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে। দেশ-দেশান্তরে ছুটে বেড়িয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য-মুকুটে নতুন নতুন পালক পরাতে। আমি কায় মনোবাক্যে এই প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল কামনা করেছি- বিগত চার বছর উপাচার্য হিসেবে এবং সবসময়ই করি এর একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে। উপাচার্য হিসেবে যদি কোনো সাফল্য অর্জন করে থাকি, তার কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার। আর সীমাবদ্ধতা-যদি কোনো থেকে থাকে, তার দায় নাহয় আমারই রইল।”
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. হারুন উর-রশিদ আসকারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ তাকে চার বছরের জন্য এ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর আগে ১১তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকারকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেয়া হয়।