প্রশাসনের প্রশ্রয়ে ঢাবি আজ রক্তাক্ত: আখতার
প্রশাসনের প্রশ্রয়ের কারণে সন্ত্রাসীদের ধারবাহিক হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ রক্তাক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশের এসব কথা বলেন। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ। এছাড়াও প্রগতিশীল ছাত্র জোটসহ বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে যারাই প্রতিবাদ করে আসছে তাদের ওপর ছাত্রলীগ বারবার আক্রমণ করে আসছে। তাদের আক্রমণের ব্যাপারে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বারবার জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এই প্রশাসনের প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা আজকে ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার সাহস পেয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টরের ভূমিকা নিয়ে ডাকসুর এই নেতা বলেন, এ ব্যর্থ প্রশাসন, মদদপুষ্ট প্রশাসন, প্রশ্রয়দাতা প্রশাসন বিশেষ করে প্রক্টরিয়াল বডির প্রধান প্রক্টর তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন প্রক্টরকে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না। অবিলম্বে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। ডাকসুর ভিপিকে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব প্রক্টরের ওপর থাকলেও তার কাছে বিচার দিলে তিনি বলেন নুরের দায়িত্ব নাকি তার নিজের। আমরা বলতে চাই যিনি এমন কথা বলেন তার কি নৈতিকভাবে পদে থাকবার কোনো অধিকার আছে?
সন্ত্রসীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, যখনই আমাদের ওপর, নুরের ওপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা হবে, তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হবে তখন সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আপামর জনসাধারণ কেউ কিন্তু আর মাঠে বসে থাকবে না।
এ সময় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
এর আগে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কেন্দ্র থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডাকসু ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে বিক্ষোভ শেষ হয়।