২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৫০

শহীদ ওসমান হাদির স্মরণে চবিতে দেয়াল লিখন-গ্রাফিতি অঙ্কন

চবিতে শহীদ ওসমান হাদির গ্রাফিতি  © টিডিসি ফটো

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির সংগ্রামকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ও তার বিচার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট, রেলস্টেশন, অগ্রণী ব্যাংক ও আবাসিক হলসহ বিভিন্ন জায়গায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় হাদির বিভিন্ন কথামালা ‘জান দেব, জুলাই দেব না’, ‘আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই’, দাসত্ব যে জমিনের নিশ্চল নিয়তি, লড়াই সেখানে সর্বোত্তম ইবাদত’, ‘গণহত্যাকারীর বিপক্ষে মজলুমের গালি হইলো মহাকাব্য’, ‘হাদি হত্যার বিচার চাই’সহ বিভিন্ন উক্তি লেখা হয়েছে।

কর্মসূচি সম্পর্কে চবি ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সদস্য সচিব নাদিম মাহমুদ উল্লাস বলেন, হাদি ভাইকে হত্যা করা হয়েছে সাত দিন হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকার তার বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। সরকার উল্টো ৯০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দিয়ে আমাদের সাথে একপ্রকার তামাশা করেছে। জুলাইয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত সরকার জুলাইয়ের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ওসমান হাদির খুনিদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

তিনি বলেন, যারা হাদিকে খুন করেছে, তারা মনে মনে করেছে এক হাদিকে খুন করে তারা আন্দোলনকে স্তিমিত করে দিবে বরং এখন আরো শতশত হাদি সৃষ্টি হবে। হাদি ভাইয়ের আন্দোলনকে জীবিত রাখার জন্য আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাফিতি কর্মসূচি পালন করেছি।

চবি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক রাফসান রাকিব বলেন, শরীফ ওসমান হাদি ভাইয়ের আন্দোলনকে জীবিত রাখার জন্য এবং তার বিচারের দাবিতে আমরা গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচি পালন করেছি। গ্রাফিতিতে ওসমান হাদির কোটেশনগুলো লেখা হচ্ছে। তিনি কালচারাল ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে যে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তা ধরে রাখতে এবং তার হত্যার বিচার দাবিতে আমরা এখনো রাজপথে আছি।

গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগে থাকাকালীন তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে  উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয় তাকে।