বিশ্ববিদ্যালয়কে সংকটে রেখে আমি চলে যাব না: ড. নিয়াজ আহমেদ খান
ডেনমার্কে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান—সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। যদিও এমন প্রস্তাব সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
তবে প্রস্তাব আসলে বিবেচনা করে দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য এও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো সংকটময় অবস্থায় রেখে দায়িত্ব ছাড়বেন না। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রস্তাবনা আসেনি। যদি আসে আমি বিবেচনা করে দেখব।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি দেশের একটা ক্রান্তিকালীন সময়ে। আমি আমার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটা উদাহরণ সেট করার চেষ্টা করেছি যাতে করে পরবর্তী যারা আসবে তাদের বলতে পারি। আপনার এবার বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব যেহেতু নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো সংকটময় অবস্থায় ফেলে আমি চলে যাব না।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়, কোপেনহেগেনে তাকে গ্রহণে সম্মতি চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি (এগ্রিমো) পাঠিয়েছে সরকার। এখন ডেনমার্ক সরকারের ক্লিয়ারেন্স পাওয়া বাকি রয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক এগোলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই দায়িত্ব নিতে পারেন তিনি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে আরও বলা হয়, শুধু ড. নিয়াজ আহমদ খানই নন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকেও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব চলছে। তারা হলেন এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী এবং তার বোন হুসনা সিদ্দিকী।