০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:১৯

ঢাবি প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সংলগ্ন শ্যাডোতে নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ব্যানার টানানোর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফলতি শ্যাডোতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার লাগানোর প্রতিবাদ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার পর শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেন শিক্ষার্থীদের একটি দল। বৈঠক শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।

মাস্টার দ্যা সূর্যসেন হলের ভিপি আজিজুল হক বলেন, গত ১৭ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করে হলগুলো মুক্ত করেছিল। কিন্তু আজ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয়তা আমাদের ব্যতিব্যস্ত করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগের ভিত্তিতে বারবার তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোনো রিপোর্ট আজও প্রকাশ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ৩ আগস্ট রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করা ৫০ কর্মকর্তা ও ১৫ জুলাই হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের বিচার হয়নি। আমরা ইন্টারিম সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাকে বলতে চাই— খুনি হাসিনার আমলে বিরোধীদের গর্ত থেকে টেনে বের করা হতো, কিন্তু এখন ছাত্রলীগ-যুবলীগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না কেন?

তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অঘটন ঘটলেই দেখা যায়, সেই স্থানে সিসিটিভি থাকে না। প্রক্টোরিয়াল টিম দায়িত্ব পালনের বদলে কলাভবনের সামনে বসে বাদাম খায়। প্রশাসন জানিয়েছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি গঠন করবে। আমরা একদিন পর তদন্ত প্রতিবেদন চাইব; না পেলে আবারও তাদের মুখোমুখি হব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফ উদ্দীন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেয়েছি এবং শ্যাডোর দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি যে তারা কেউ ব্যানার টানাতে দেখেনি এবং শ্যাডোতে ব্যানার টানানো অবস্থায় ও কেউ দেখতে পায়নি। 

কারা এই কাজটি করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয় ছাত্রলীগের কেউ হয়ত ব্যাগে করে বা পকেটে করে এনে একটা ছবি তোলে আবার ব্যাগে করে নিয়ে গেছে। আমরা সারারাতের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতেছি।

রাতের আধারে এমন ঘটনা ঘটিয়ে যাওয়া কি প্রশাসনের ব্যর্থতা নয় এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ৩২০ একরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৩৭ জন প্রক্টোরিয়াল সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব নয়। আবার কারো ফোন বা ব্যাগ চেক করলেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রক্টোরিয়াল টিমকে তাদের মত কাজ করতে দিতে হবে।