৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৮

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ছাত্রী হিসেবে ফেলোশিপটি পেলেন ঢাবির আফসানা

ঢাবির ইইই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা আনজুম আঁখি  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফসানা আনজুম আঁখি মর্যাদাপূর্ণ ‘আইইইই ইলেকট্রন ডিভাইস সোসাইটি (ইডিএস) মাস্টার্স ফেলোশিপ-২০২৫’ অর্জন করেছেন। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এটি অর্জন করেছেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে প্রথম নারী শিক্ষার্থী হিসেবে এ বৈশ্বিক সম্মান অর্জনের মাধ্যমে আফসানা ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ইলেকট্রন ডিভাইস ক্ষেত্রের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত ও স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছর আইইইই ইডিএস মাস্টার্স ফেলোশিপ দেওয়া হয়।

অসাধারণ গবেষণা দক্ষতা, গবেষণা প্রকল্পে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং প্রকৌশল শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধনে অনন্য সাফল্যের জন্য বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীরা আইইইই ইডিএস ফেলোশিপ লাভ করে থাকেন। এ বছর বিশ্বব্যাপী মাত্র দুজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। 

এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আফসানা আনজুম আঁখি অন্যতম। অন্যজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অস্টিন এর বিবেক তালাভাঝুলা। আফসানা ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাইনুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 

আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অন্যতম বাধা ‘ওভার প্রিপারেশন’, যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফোকাস রাখব

তার গবেষণার অন্যতম বিষয় ছিল, ন্যানোস্কেলে ultra-low-power এবং steep-switching III-V device-এর বৈদ্যুতিক আচরণকে টিসিএডি সিমুলেশনের মাধ্যমে অনুধাবন করা। পাশাপাশি আফসানা নতুন দ্বিমাত্রিক (টু-ডি) heterostrucrure FET FET সেন্সরের জন্য নিউমেরিক্যাল মডেল উন্নয়নে কাজ করছেন।

এ অসাধারণ সাফল্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ আফসানাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উপমা কবির বলেন, এ অসাধারণ সাফল্য বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণা অঙ্গনে দেশের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ও সম্ভাবনাকে তুলে ধরে। 

তার এই অর্জন বিভাগ ও অনুষদকে গর্বিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকগণ এসটিইএম ক্ষেত্রে উন্নত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত হবেন। এটি ভবিষ্যতের সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির রূপ নির্মাণে সহায়ক হবে।