১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০৬

সাদেকা হালিম-জিনাত হুদা-মশিউর-জামালসহ ৬ আওয়ামীপন্থী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ঢাবিতে বিক্ষোভ  © টিডিসি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, আন্দোলনে যেতে বাঁধা ও হুমকি প্রদান, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের তথ্য প্রদানসহ নানা অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ঢাবি উপাচার্যের (ভিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট এ্যাকশন’, ‘জামাল কদু ঘোরে ফেরে, প্রশাসন কী করে’ সহ নানা স্লেগান দেন।

এ সময় ডাকসুর সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি প্রদানকারী কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি) গঠন করে এবং অভিযুক্ত ছয়জন শিক্ষককে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখে।

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের ‘মার্চ টু সচিবালয়’ শুরু

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ এক বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই তদন্ত কার্যক্রমে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বরং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত শিক্ষক আ. ক. ম. জামাল উদ্দিন পুনরায় সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করেছেন এবং বিভাগে প্রবেশেরও চেষ্টা করছেন। যা আমাদের মতে জুলাই স্পিরিটের পরিপন্থী এবং নৈতিকভাবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’

এসময় প্রশাসনের নিকট তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত শিক্ষকগণের বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করা, অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সকল প্রকার প্রবেশ ও যোগাযোগ কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা এবং একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করা।

এর আগে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকেই বিভিন্ন বিভাগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানানো হয়। অনেক শিক্ষক স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলেও কিছু শিক্ষক স্বেচ্ছায় অব্যাহতি না নিলে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন।

এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহমুদা খাতুন ও অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রশাসন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তাদের ব্যাপারে সিন্ডেকেটে এজেন্ডা থাকলেও অজ্ঞাত কারণেই সেটি নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।