১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৩

আলোচনায় চবির শাটলে বহিরাগতদের জন্য বগি চেয়ে বাম সংগঠনের দাবি

প্রায় এক বছর আগে প্রক্টর বরাবর এই স্মারকলিপি দেয় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র পরিবহন শাটল ট্রেনে বহিরাগতদের জন্য বগি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল বামপন্থী সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী। স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর হঠাৎই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে প্রায় এক বছর আগে জানানো এই দাবির কথা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে স্মারকলিপি দেওয়া সংগঠনটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ নভেম্বর বেশ কিছু দাবিতে এই স্মারকলিপি দেয় ছাত্র মৈত্রী। এর ৮ নম্বর প্রস্তাবনায় বহিরাগতদের জন্য বগি চাওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘শুধু সিডিউল নয়, শাটল ট্রেনের বগি বাড়িয়ে পর্যাপ্ত সিট নিশ্চিত করতে হবে। শহরগামী শিক্ষার্থীদের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। শাটলে স্থানীয় জনগণের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত বগী নিশ্চিত করতে হবে।’

এছাড়াও এ স্মারকলিপিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে চাকসু নির্বাচন, বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আবাসিক করা, লাইব্রেরি উন্নয়ন, নারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিশ্চিতকরণ ও সেশনজট নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

গত ৩১ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। গ্রামবাসীর পক্ষেও ৩ শতাধিক আহতের দাবি করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত তিনজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছেন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা। ফলে সম্প্রতি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দেওয়া স্মারকলিপিটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সংগঠনটির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জশদ জাকির দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা একটি আদর্শিক রাজনীতি করি। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়েই শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে এলাকাবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যাওয়া-আসা করতে পারবে। আর আমরা স্মারকলিপিতে বলেছি শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ সিট নিশ্চিত করে এলাকাবাসীর জন্য নির্ধারিত বগি রাখতে। আমাদের দেওয়া প্রস্তাবনা মানলে সম্প্রতি হওয়া এই সংঘর্ষ ঘটত না।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর মো. বজলুর রহমান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা অনেকদিন আগের ঘটনা। তবে এটি সত্য যে তারা (বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী) এ প্রস্তাবনা জানিয়েছে।