০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫

ডাকসু নির্বাচন: কার্জন হল কেন্দ্রে অচেতন এজিএস প্রার্থী

স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী উবায়দুর রহমান হাসিব  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন হল সংসদের স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী উবায়দুর রহমান হাসিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ও অমর একুশে হলের এজিএস প্রার্থী।

আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল (ঢামেকে) নেয়া হয়েছে।

এর আগে, এদিন সকাল থেকেই ভোটার ও প্রার্থীরা নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। এ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত কয়েক মাস  ধরে প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। এর মাধ্যমে দেশে জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনও সুস্থ ধারায় ফেরার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

এবারের নির্বাচন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। কারণ দলীয় সরকার নেই। নেই হলে হলে দখলদারত্ব। গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকটা মুক্ত পরিবেশে ডাকসু নির্বাচন আজ। ভোটের উৎসব বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। এ ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথম নির্বাচন হওয়ায় ডাকসুর এ ভোটকে ‘জাতীয় নির্বাচনের মহড়া’ হিসেবেও দেখছেন অনেকে।

আরও পড়ুন: ডাকসু ও হল সংসদে প্রার্থী বেশি হওয়ায় ভোট দিতে সময় লাগছে: হামিম

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৮টি কেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ। ডাকসুর জন্য পাঁচ পাতার ব্যালট ও হল সংসদের জন্য থাকবে এক পাতার ব্যালট। সব মিলিয়ে একজন ভোটারকে ভোট গুনতে হবে ছয় পাতার ব্যালটে। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন।  ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হবে।

দেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নমূলক গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়েছে। হল দখল ও আধিপত্যের রাজনীতি বন্ধ। কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। ছাত্রসংগঠন বিভিন্ন সমস্যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজানোর চেষ্টা করছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসা পরিবর্তনগুলো টেকসই রূপ পাবে, ছাত্ররাজনীতি ফিরবে সুস্থ ধারায়- এমন প্রত্যাশা সবার। এতে আসবে গুণগত পরিবর্তন। শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে—এসবই এখন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা নিয়েই ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।