সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রায় ১১ মাসের বিস্তারিত এবং ব্যাপক প্রস্তুতি শেষে সমস্ত অংশজনদেরকে সাথে নিয়ে আমরা প্রস্তুতির শেষভাগে চলে এসেছি। আগামীকাল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এবারের নির্বাচনকে বিভিন্ন কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারীভাবে যদি বলি তাহলে ঐতিহাসিক। এবার অনেক কিছু আমরা করছি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এর আগে ঘটেনি। আমাদের ৮১০টি বুধ থাকবে। প্রথমবারের মত আমরা হল থেকে বের হয়ে এসে কেন্দ্রীয়ভাবে ৮টি সমন্বিতভাবে আয়োজিত কেন্দ্রে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছি।
উপাচার্য বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রায় ৩ স্তরে। আমাদের অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং নিবেদিতপ্রাণ পোলিং কর্মকর্তারা থাকবেন। নির্বাচন কমিশনে এবার চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১০ জন নির্বাচন কমিশনে আছেন সমাজে তাদের গ্রহণ যোগ্যতা আছে।
মিডিয়া আমাদের বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এ ভোট গণনা প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মোচন করে দিব। ব্যাপক সংখ্যক সংবাদপত্র প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উপস্থিত থাকবে।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ বলেন, সারাদেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সারাদেশের মানুষ আমাদের শুভকামনা জানাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে নারী ৬২ ও পুরুষ ৪০৯ জন। ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫ জন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামজোট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনটিতে নিজেদের প্যানেল দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যাও কয়েক শতাধিক। আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর হবে ভোট গ্রহণ করা হবে।