০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪

রাবিতে দ্বিতীয় মাস্টার্সের সুযোগ চেয়ে ছয় নেতার আবেদন বিবেচনায় নেয়নি কর্তৃপক্ষ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি সম্পাদিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রদলের পাঁচ নেতা ও সাবেক এক সমন্বয়ক দ্বিতীয় মাস্টার্স করার সুযোগ চেয়ে করা আবেদন বিবেচনায় নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার দুপুরে সিনেট ভবনে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এজেন্ডাভুক্ত করার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচনে অংশ নিতে তারা এ আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সবার মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা মনে করছি, এটা এখন করার প্রয়োজন নেই।’ যারা আবেদন করেছিলেন, সেগুলো বিবেচিত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দ্বিতীয়বার মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ চেয়ে আবেদন করা নেতারা হলেন- শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার শেখ ও সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না।

আবেদনপত্রে নেতারা বলেছেন, বিগত ‘ফ্যাসিস্ট শাসনামলে’ রাজনৈতিক হয়রানি ও কারাবরণের কারণে তারা সুষ্ঠুভাবে মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি। এজন্য তারা দ্বিতীয়বার মাস্টার্সের সুযোগ চান। তারা সবাই উপাচার্য বরাবর করা এ আবেদনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

রাবিতে প্রচলিত আইনে মাস্টার্সের ভর্তির জন্য আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে, আবেদনকারী যে বিভাগ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পাশ করেছে শুধুমাত্র সে বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে, স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পাশের পর তিন শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ভর্তির জন্য আবেদনের সুযোগ থাকবে বলে নিয়ম রয়েছে। 

আরও পড়ুন: রাবিতে বিশেষ বিবেচনায় দ্বিতীয় মাস্টার্স  বিতর্ক, যা বলছেন ছাত্রনেতারা

মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট অধিকর্তা-এর তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ বিভাগ কর্তৃক এ পরীক্ষা পরিচালিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ১ হাজার টাকা— যা অনলাইনে প্রদান করতে হবে।

১৯৯০-এর দশক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বা ডাবল মাস্টার্স চালু নেই। সাবেক ছাত্রনেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোর্সটি আবার চালুর বিষয়েই সভায় আলোচনা হবে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সভায় অংশ নেবেন।