১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৭:০২

চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, ভিসি-প্রো-ভিসি অবরুদ্ধ

আন্দোলনে চবি শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি

শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।   

রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘দালালি না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’; ‘১০০ টাকার ভিক্ষুক, তারা নাকি শিক্ষক’; ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’;  ‘এক দুই তিন চার, আবাসন আমার অধিকার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। 

শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো– শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। আজকেই সিন্ডিকেট সভা করে আধুনিক এবং বহুতল হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে, শতভাগ আবাসন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে, সকল হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারী ছাত্র-ছাত্রীর তালিকা শনাক্ত করে অনতিবিলম্বে তাদের হলের সিট বাতিল করতে হবে, হলের আবেদনে যতবার ১০০ টাকা করে নিয়ে হলের রেজাল্ট নিয়ে প্রহসন হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীকে সিট দেওয়া হয়নি, তাদের ১০০ টাকা অনতিবিলম্বে ফেরত দিতে হবে এবং মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বন্ধ করে ডেকার বেড প্রথা চালু করতে হবে৷

অবস্থান কর্মসূচিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসান হাবিব বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মৌলিক দাবির মধ্যে অন্যতম দাবি শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা। দীর্ঘকালীন সময়ে আমাদের এই আবাসন সমস্যা নিরসনে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেকবার আন্দোলন হয়েছে, স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। এজন্য আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছি। 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দাবির কারণে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে রেখেছে। আমরা লিখিতভাবে তাদের দাবিগুলো চেয়েছি। শিক্ষার্থীরা এখনো বিক্ষোভ করছে, আমরা লিখিতভাবে দাবিগুলো পেলে সমাধানের চেষ্টা করব।