০১ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৫৪

ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের অপপ্রচার, অভিযোগ—অনুমতি ছাড়া ছবি তুলেছেন ভারতীয় সাংবাদিক

ঢাবি ও ইন্ডিয়া টুডের লোগো  © টিডিসি সম্পাদিত

অনুমতি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই নারী শিক্ষার্থীর ছবি তুলেন ভারতীয় এক সাংবাদিক। পাশাপাশি তালেবানি ট্যাগ ব্যবহার করে অপপ্রচার চালিয়ে খবর প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই দুই শিক্ষার্থী। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা ২০২৩-২৪ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শামসুন্নাহার হলের ছাত্রী। গত কয়েকদিন আগে রাস্তায় চলার সময় জনৈক ভারতীয় এক রিপোর্টার আমাদের অনুমতি ছাড়া আমাদের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে এবং বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালায়। আমাদের পোষাক নিয়ে তালেবানি ট্যাগ দেয়, যা অত্যন্ত বিদ্বেষপূর্ণ। তাদের এই নিউজটি বাংলাদেশ সরকারের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সরকার ও ঢাবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এদিকে ‘বাংলাদেশে তালেবানি যুগ?’ নারীদের পোশাকবিধি ও প্রতিবাদে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক শুরু—হেড লাইনে প্রকাশ করা ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, এই সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক নারীকর্মীদের ছোট জামা ও ছোট হাতার পোশাক পরা নিষিদ্ধ করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। তবে সমালোচনার মুখে প্রতিষ্ঠানটি পরে সেই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশে নারীদের ছোট জামা পরা নিষিদ্ধ করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার পর দুই দিনের মধ্যে আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়। চলতি সপ্তাহে পাস হওয়া একটি অধ্যাদেশে সরকারি নীতির বিরুদ্ধে কর্মচারীদের প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ এবং রাতের আঁধারে গোপনে চালু করা একটি অধ্যাদেশ—যার মাধ্যমে সরকারি নীতির বিরুদ্ধে কর্মচারীদের প্রতিবাদের অধিকার বাতিল করা হয়েছে—এ দুটি ইস্যুই এখন বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের জন্য নতুন করে বিতর্কের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

এই ঘটনাগুলো শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার ঝড়ই তুলেছে তা নয়, অনেকেই এগুলোকে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে জারি করা অনুরূপ নির্দেশনার সঙ্গে তুলনা করেছেন।