ঢাবির হলের প্রতি কক্ষে একটি করে ফুলের চারা দিলেন দুই শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীম উদ্দীন হলের প্রত্যেক কক্ষে একটি করে টবসহ ফুলের চারা বিতরণ করেছেন হলটির দুই শিক্ষার্থী। মোট ১২০টি কক্ষে ১৩ ধরনের ফুলের চারা প্রদান করেন তারা। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে তাদের এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ফুলের চারা বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ ওসমান গণী এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের আশিক খান। এছাড়া তাদের এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে ছিলেন- আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আলম শিহাব।
এ বিষয়ে উদ্যোক্তা ওসমান গণী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখন বর্ষা চলছে। গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্ষাকালে গাছ লাগানোর ফলে বায়ু বিশুদ্ধ হয়, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং পরিবেশ আরও সুন্দর, একই সাথে পরিবেশ সচেতনতা আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ফুলের গাছ লাগানোর পর মানুষ প্রকৃতির সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে এবং এর মাধ্যমে আনন্দ, শান্তি, এবং দায়িত্ববোধের মতো বিভিন্ন পজিটিভ অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই শহীদ দিবসে’ বেরোবিতে যাচ্ছেন চার উপদেষ্টা
আশিক খান বলেন, আমার অনেক দিনের একটা স্বপ্নের প্রজেক্ট আজ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলাম। কবি জসীমউদ্দিন হলের প্রতি রুমের সামনে একটি করে ফ্লাওয়ার পট দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৩ ধরনের চারা গাছ আছে। আর গার্ডেনে দুইটি কাঠ গোলাপ গাছ রোপণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একদিন চলে যাব হল থেকে, হয়ত আবারও কখনো ঘুরতে ফিরতে একটু আড্ডা দিতে আসবো ৪/৫ বছর কাটানো এ প্রিয় প্রাঙ্গনে। এসে বসব কাঠ গোলাপের গাছ দুটির পানে। হাজারো স্মৃতি আর শত মানুষের সাথে কাটানো মধুর দিনের স্মৃতিচারণ করবো। মূলত ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গনরুম-গেস্টরুমের মতো টর্চারগুলো আর হয়না। এমন একটা হল আমাদের বহুদিনের চাওয়া ছিলো। তাই একান্ত ভালোলাগা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।
হিজবুল্লাহ বলেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের ভবনের প্রতিটি রুমে এক টুকরো সবুজ পৌঁছে দেওয়া। প্রতিটি রুমে একটি করে ফুলের গাছ দেওয়া হয়েছে যেন শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে পারে। এটা শুধু পরিবেশ সচেতনতাই নয়, বরং মানসিক প্রশান্তি, ভালোবাসা ও যত্মের অনুভব জাগিয়ে তোলার একটি প্রয়াস।
উল্লেখ্য, বিতরণ করা ১৩ প্রজাতির ফুলগুলো হল- বেলি, মিনি টগর, জবা, হাসনেহেনা, গন্ধরাজ, শিউলি, নিমঝুরি, লাকি ব্যাম্বো, কাটমা লতি, মিনি রঙ্গন, চায়না বাঁশ বা চারুলতা, কেওয়া, এরেলিয়া ইত্যাদি।