সংবাদ প্রকাশের পর চবি ছাত্রদল নেতাকে শোকজ
‘চাঁদা দাবির অভিযোগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে’ শীর্ষক শিরোনামে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত ওই নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদল। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দীন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত ওই নেতাকে বলা হয়, আপনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একজন দায়িত্বশীল পদে থেকে দীর্ঘদিন সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে আপনাকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে যে, কেন আপনার বিরুদ্ধে স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মুখে হাজির হয়ে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যা চূড়ান্ত ও অপ্রত্যাহারযোগ্য হবে।
এর আগে গত ২৬ জুন দুপুরের দিকে চবির প্রকৌশল দপ্তরের কর্মরত একজন কর্মচারীকে তুলে এনে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে দাবির অভিযোগ উঠে এই নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়াও গত ১৮ জুন ভারি বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গিরিপথগুলো পানিতে পূর্ণ হয়ে স্রোত বেড়ে গেলে কাটা গাছের অনেকগুলো গুঁড়ি ভেসে আসতে দেখা যায়। অনেকগুলো গাছ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লুইস গেইটে ভেসে আসতে দেখে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়। প্রশাসন এসব গাছ জব্দ করে। তবে জব্দকৃত এসব গাছ ছাড়িয়ে অথবা গাছ উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবিরও অভিযোগ উঠে।
জানা গেছে, হাসান চবির অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। স্নাতকোত্তের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তার আসন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলে।
তবে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হাসান আহমেদ। তিনি বলেন, আসলে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফরহাদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। পরে তারা নিজেরা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে নিবে বলায় আমরা চলে এসেছি। টাকা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।