সব চাকরি পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে সকল ধরনের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে একদিনে একাধিক চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা এড়াতে মনিটরিং সেল গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। আজ রবিবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনের ‘চাকরি সংস্কার আন্দোলন’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফারি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জালাল আহমদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান,সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তফা আল ইহযায, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শামীম মিয়া প্রমুখ ।
মানববন্ধনে জালাল আহমদ বলেন, আমরা ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি ৫৬% থেকে ৭% এ নামিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র ‘কোটা’ পদ্ধতির ‘সংস্কার কিংবা কোটা বাতিল’ করলেই সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে না। তাই প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলেও ‘স্বচ্ছতা’ নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ ফেরিফিকেশনেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ঘুষ ও দুর্নীতির কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরি পায় না। তাই বিসিএস পরীক্ষাসহ সকল চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভার নম্বারসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। তাহলেই কেবল কোনো দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না ।
শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিগুলো হলো: সকল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; সকল চাকরির পরীক্ষায় মানসম্মত এবং ভারসাম্যমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করা; পুলিশ ভেরিফিকেশনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান; নন ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংশোধন করে উত্তীর্ণ সবার চাকরির সুযোগ সুনিশ্চিত করা; প্রশ্নপত্রের 'সঠিক উত্তর এবং কাট মার্ক’ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা; দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে পিএসসি গঠন করা; একইদিনে একই সময়ে সম গ্রেডের একাধিক পরীক্ষা এড়াতে মনিটরিং সেল গঠন; পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ‘মাইগ্রেশন স্টাইল’ চালু করা; ভাইভার আগে ক্যাডার চয়েজের সুযোগ; কম খরচে খাতা পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ দেওয়া; ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়মবহির্ভূত ও ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বাতিল করা।