২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:১০

সাবেক শিক্ষকের কাছে প্রায় ১৯ লাখ টাকা পাওনা, ফেরত চেয়ে ঢাবির চিঠি 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক ক্লিনিক্যাল ফার্মেসী ও ফার্মাকোলজি বিভাগ সাবেক সহকারী অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ কাছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই শিক্ষককে পাওনা টাকা ফেরতের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ জুলাইয়ের একটি চিঠির ধারাবাহিকতায় এবং চলতি বছরের ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাওনা টাকার হিসাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাওনাদি দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী সাবেক ওই শিক্ষকের কাছে মূল বেতন, সুদ, অতিরিক্ত বেতন, উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা ও মহার্ঘ ভাতাসহ মোট ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে: মূল বেতন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৯ টাকা, সুদ (১৩.৫০%) ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৪ টাকা, অতিরিক্ত বেতন ২ লাখ ২ হাজার ৩৯৪ টাকা, উৎসব ভাতা ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০০ টাকা, বৈশাখী ভাতা ১২ হাজার ৬০ টাকা, মহার্ঘ ভাতা ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬০ টাকা।

পাওনাদির বিপরীতে সাবেক ওই শিক্ষকের প্রভিডেন্ট ফান্ডে (পি.এফ.) জমা থাকা অর্থের পরিমাণ মাত্র ৮২ হাজার ৬৯৬ টাকা। এর মধ্যে চাঁদা বাবদ জমা হয়েছে ৭৬ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সুদ বাবদ রয়েছে ৫ হাজার ৭৩৬ টাকা।  

চিঠিতে জানানো হয়, সাবেক ওই শিক্ষককে পাওনা টাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের হিসাব নম্বর ০১১৮৩৩০০০০৯৮, জনতা ব্যাংক, টিএসসি শাখায় জমা দিয়ে রশিদটি দপ্তরে পাঠাতে হবে।