রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
চলমান পোষ্য কোটা ইস্যুতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে নিয়ে এক কর্মকর্তা বিদ্রূপপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
ওই কর্মকর্তার নাম জাকিরুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘জাকিরের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, লড়াই হবে একসাথে’, ‘এক দুই তিন চার, জাকির তুই দালালি ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়া অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল আজিজ বলেন, ‘সালাউদ্দিন আম্মারকে উদ্দেশ করে বক্তব্য দেওয়ার সময় পুরো ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন সালাউদ্দিন আম্মার এমন একটি বিভাগে পড়ে যে বিভাগকে কেউ চেনে না, বিভাগের নামও তিনি নেন না। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী হয়ে তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিভাগকে নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। আমরা কঠোরভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তিনি যে জায়গা থেকে এই কথা বলেছেন, সেই জায়গা থেকেই আমাদের বিভাগের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিভাগটির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বাঈজিদ আহমেদ বলেন, ‘কোটা পুনর্বহাল নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে আন্দোলন করছে, তা কতটা যৌক্তিক নাকি অযৌক্তিক, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। সালাউদ্দিন আম্মার, সে শুধু ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকেই রিপ্রেজেন্ট করছেন না, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করছেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে একটা বিভাগকে নিয়ে যে অপমান করা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। তিনি আরও বলেছেন যে এই ডিপার্টমেন্টের নাম তিনি উচ্চারণ করতেও চান না। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হয়ে সে যদি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে না চেনার কথা বলে, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা বিষয়। একটা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী হয়েও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগকে অস্বীকার করার কারণে আমার মনে হয় তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করার নৈতিক অধিকার রাখেন না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে এমনভাবে আমি বলিনি। আমার নামটা মনে আসতেছিল না তাই এ কথা বলেছি। আসলে নিজ বিভাগ সবার কাছেই একটি আবেগের জায়গায়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমি আমার ফেসবুক পোস্টে ও ভিডিও বার্তায় সরি বলেছি।’