ঢাবির গ্রন্থাগারের ভেতরে শুটিং ‘চরকি’র, প্রক্টর বললেন অনুমতি দেওয়া হয়নি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৮ PM
নির্ধারিত সময়ের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভেতরে সিনেমার শুটিং করেছে ওটিটি প্লাটফর্ম ‘চরকি’। এ নিয়ে গ্রন্থাগারে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ দাবি করেন, গ্রন্থাগারের ভেতরে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে ক্যাম্পাসের কয়েকটি জায়গায় অনুমতি দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম দাবি করেন, তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রন্থাগার খোলার আগেই চলে যাওয়ার কথা ছিল তাদের, কিন্তু যায়নি তারা।
জানা যায়, আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় গ্রন্থাগার ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে লাইট বন্ধ করে শুটিং চলছে। এসময় বহিরাগত লোকজনও চলাচল করছে সেখানে। এতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। এ ঘটনায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সিনেমার শুটিং, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
গ্রন্থাগারে পড়তে আসা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৮-১৯ সেশনের এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, লাইব্রেরিতে প্রবেশের পর দেখি শুটিং চলছে। লাইব্রেরির খোলার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পরও লাইট অফ করে রাখা হয়। আর শুটিংয়ের লোকজনের আনাগোনায় পড়াশোনার পরিবেশ ছিল না। একটা দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের লাইব্রেরি শুধু পড়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত।
এদিকে, গ্রন্থাগার বরাবর শুটিংয়ের অনুমতিপত্রে দেখা যায়, চরকির জন্য নির্মিত ওয়েবফিল্ম ‘ঘুমপরীর গল্প’-এর শুটিংয়ের জন্য লাইব্রেরিতে আজ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অনুমতি দেয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে পরও বেলা ৪টা পর্যন্ত তাদের সেখানে শুটিং করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ওয়েবফিল্ম ‘ঘুমপরীর গল্প’-এর নির্বাহী পরিচালক তাওহীদুল তামিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় ক্যাম্পাসে প্রচুর ভিড় ছিল। এজন্য কোথাও স্পেস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে লাইব্রেরিতে শুটিং করতে করতে প্রায় পৌনে ৪টার বেজে যায়। যেহেতু বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এটা নির্মিত হচ্ছে, তাই এটির শুটিং শেষ করাটাও জরুরি ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থারের ভেতরে শুটিং করার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন, বটতলাসহ তিনটি স্পটে শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। তারা যদি গ্রন্থাগারের ভেতরে শুটিং করে থাকে, ওই বিষয়ে আমার জানা নেই। গ্রন্থাগারের ভেতরে শুটিং করার অনুমতি দেখাতে পারবে না তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই একটা সিনেমার শুটিং হয়েছে। তবে তাদের লাইব্রেরি খোলার আগেই চলে যাওয়ার কথা, কিন্তু তারা যায়নি।