ফেসবুক পেজে অশ্লীলতা প্রমোট করায় ক্ষুব্ধ চবি শিক্ষার্থীরা
গোপন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ও ছবির সাথে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ ক্র্যাশ অ্যান্ড কনফেশন পেজের মাধ্যমে অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ‘বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ তুলে সাইবার বুলিং বন্ধসহ অপরাধীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে চবি বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ বলেন, ক্র্যাশ অ্যান্ড কনফেশন পেজের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুমতি ছাড়া গোপনে ছবি তুলে পোস্ট করা হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের শামিল এবং আইনত অপরাধ।
তিনি আরও বলেন, সবকিছুরই একটা সীমা-পরিসীমা আছে, সীমা অতিক্রম করা কোন ক্ষেত্রেই সুফল বয়ে আনে না। আপনার যেমন নিজের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সৎ মাধ্যম এবং স্বাধীনতা আছে। ঠিক তেমনি অন্যের স্বাধীনতা হরণ করে অন্যের পার্সোনাল স্পেসে প্রবেশ করে, তা নিয়ে তামাশা করার অধিকার কিন্তু একেবারেই নেই। আমাদের মেয়েদের অনলাইনে ক্লাস করা হচ্ছে। সেই সাথে পেইজগুলোতে অশ্লীলতা প্রোমোট করা হচ্ছে। আমরা এগুলো বন্ধ এবং জড়িতদের বিচার চাই।
চবি সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী নওশিন নাওয়াল ফাতিমা বলেন, ক্র্যাশ এন্ড কনফেশন পেইজগুলো ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিজম করার উন্মুক্ত প্লাটফর্ম। কারো অনুমতি ব্যতীত ছবি তোলা এবং পাবলিকলি প্রচার করে বেড়ানো খুবই গর্হিত একটি কাজ। এই কাজ যে করে এবং যে সহায়তা করে উভয়ই সমান অপরাধী। ক্যাম্পাসে এবং শাটল ট্রেনে কিছু শ্রেণির মানুষ প্রায়ই এই দৃষ্টিকটু কাজটি করে বেড়ায়, বিশেষ করে মেয়েদের ছবি। কনসেন্ট ছাড়া এভাবে পাবলিক্যালি প্রচার-প্রসার করে বেড়ানো খুব দৃষ্টিকটু একটি বিষয়। আমরা প্রশাসনের কাছে সাইবার বুলিং বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে অপরাধীদের বিচারের দাবি করছি।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, এই ফেসবুক পেইজগুলো ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করছে। গ্রামীণ জনপদ থেকে উঠে আসা মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগাচ্ছে। আমরা এ ধরনের তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রক্টর অফিসসহ প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।