১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৭

জাবির বিজয় দিবসের প্রীতিভোজে অতিরিক্ত ৫ হাজার জনের খাবার বরাদ্দ

  © ফাইল ফটো

প্রতিবারের মত এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রীতিভোজ আয়োজনে করা হয়েছে। তবে প্রকৃত শিক্ষার্থীর থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৫ হাজার জন শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

রেজিস্ট্রার অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এবার ছেলেদের হল ও মেয়েদের হল মিলে মোট ২১টি হলে ১৯ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রীতিভোজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা কোনোভাবেই ১৫ হাজারের বেশি হবে না বলে জানা গেছে। 

রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৪৭তম ব্যাচ থেকে ৫৩ তম ব্যাচের । যদিও ৪৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কিছু বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। ৪৭ তম ব্যাচের কিছু কিছু বিভাগেরও স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে। সে হিসেবে, ৪৬তম ব্যাচ থেকে ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেব করলে মোট ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বিজয় দিবসের প্রীতিভোজের হিসেবে মোট ১৯ হাজার ৩৭২ জনের হিসেব দেখানো হয়েছে। জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী ফিস্ট আয়োজনের জন্য আগাম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

সবচেয়ে বেশি মীর মশাররফ হোসেন হলে ১হাজার ২৬১ জনের হিসেব দেখানো হয়েছে এবং মেয়েদের ফজিলাতুন্নেছা হলে সবচেয়ে বেশি ১২১০ জনের হিসেব দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম ছেলেদের আল বেরুনী হলে মোট ৪৭৮ জন শিক্ষার্থীর হিসেব দেখানো হয়েছে এবং মেয়েদের জাহানারা ইমাম হলে ৬২৮ জন শিক্ষার্থীর হিসেব দেখানো হয়েছে। 

এছাড়াও অন্যান্য হল গুলোতে প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুযায়ী বরাদ্দ: ছেলেদের হলের মধ্যে বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ১১৩৪ জন, মওলানা ভাসানী হলে ১১৯৫ জন ,  আ.ফ.ম. কামালউদ্দিন হলে ৮১৮ জন, শহীদ সালাম বরকত হলে ৯১৭ জন, শহীদ রফিক জব্বার হলে ১০৭১জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ৯৪৬ জন, শেখ রাসেল হলে ১০৮৬ জন, শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ হল ১০৪৬ জন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ১০২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রীতিভোজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মেয়েদের হলের মধ্যে রোকেয়া হলে ১১২০ জন, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ৬৭৫ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৭৫৯ জন, প্রীতিলতা হলো ৬৪৬ জন, বেগম সুফিয়া কামাল হলে ৬২৯ জন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব  হলে ৭৯৫ জন, বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে ১০২০ জন করে শিক্ষার্থীর প্রীতিভোজের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী সংখ্যার কথা বিদ্যালয় ডেপুটি রেজিস্টার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়  ৪৭ থেকে ৫৩তম ব্যাচ পর্যন্ত যদি হিসেব করি তাহলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ থেকে সাড়ে ১৪  হাজারের বেশি হওয়ার কথা নয়। যদিও ৪৭তম ব্যাচের অধিকাংশ বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে। 

প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রত্যেক হল প্রভোস্ট থেকে তাদের হলের শিক্ষার্থী সংখ্যা চেয়েছি তাঁরা যে সংখ্যা দিয়েছে আমরা সে অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত করেছি। 

তিনি আরও বলেন, প্রীতিভোজের আয়োজন মূলত কতজন শিক্ষার্থী কুপন কাটছে এবং স্টাফ সংখ্যার উপর নির্ভর করে আয়োজন করা হবে। যদিও প্রীতিভোজের বরাদ্দ প্রস্তুত করা তালিকা অনুযায়ী  প্রত্যেক হলে দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার বলেন, এবার আমাদের হলে প্রায় নয় শত জনের মতো শিক্ষার্থীর প্রীতিভোজের আয়োজন হচ্ছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলে ৮০৮ শিক্ষার্থী অ্যালোটেট, এ ছাড়াও এমফিল ও জিআইএস মিলে ১ হাজার ৭১ জন। সাধারণত এমফিল ও জিআইএস এর শিক্ষার্থীরা আসেন না, এজন্য তাদের জন্য আয়োজন সাধারণ আয়োজন করা হয় না।