৭১-এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও তরুণরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে: ঢাবি ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, ১৯৭১’র ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালেও তরুণরা জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অসাধ্য সাধন করেছে। ৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২০২৪ সালে দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধের ন্যূনতম উপায় হলো আন্তরিকতার সাথে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনসহ জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, যতগুলো বড় ঘটনা আমাদের জাতীয়তাবাদ ও জাতিসত্তার পরিচায়ক তারমধ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস অন্যতম। এদেশ স্বাধীন না হলে আমরা কোন পদ-পদবী, মর্যাদা কিছুই পেতাম না। আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি দেশ পেয়েছি, জাতি হিসেবে তা সকলের জানা প্রয়োজন। শহিদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের প্রতিনিয়ত অন্তরের রক্তক্ষরণ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য বুঝতে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো জানা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সকল অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থেকেছে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে এ প্রতিষ্ঠান জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। ৭১-এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সাঈদ-মুগ্ধরা ২৪ এ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। ঐতিহাসিক এসব ঘটনা পরম্পরার তাৎপর্য অনুধাবন করে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদদের কবরসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাবি রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম শেখ, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ, শহীদ গিয়াস উদ্দিন আহমদের ছোট বোন অধ্যাপক সাজেদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুসহ মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ পরিবার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে ভিসি ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থান, জগন্নাথ হলে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন আবাসিক এলাকার স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর ও রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।