ছুটির দিনে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাড়ি চলাচল সীমিত হলো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসের সাতটি প্রবেশপথে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। সেখান দিয়ে বাইরের কোনও যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ছুটির দিনেও বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য শাহবাগ, নীলক্ষেতসহ সাত প্রবেশমুখে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। তবে জরুরি পরিবহন, রোগী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অতিথির গাড়ি বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে।
এতে ছুটির ওই এলাকায় কাজে গিয়ে অনেককে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এমনি একজন মো. রাসেল মিয়া দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি সেই নিউ মার্কেট থেকে আসছি। গাড়ি বন্ধ করে দেওয়াই হেঁটে হেঁটে যেতে হচ্ছে। তবে এতে যদি শিক্ষার্থীদের উপকার হয় তাহলে আমরা না হয় একটু কষ্ট করলাম। তবে প্রশাসনে আগের থেকে উচিত ছিল বিষয়টা জানিয়ে দেওয়া যে এদিক দিয়ে আজকে থেকে গাড়ি ঢুকবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমার বাসা পলাশীতে হওয়ায় তোরণ থেকে টিএসটি পর্যন্ত হাঁটতে হয়েছে। তবে এটা দেখে ভালো লাগছে যে ক্যাম্পাসে যানজট কম। অন্যান্য সময় বিশেষ করে শুক্রবারে জ্যামের কারণে ক্যাম্পাসে হাঁটাই যেতনা।’
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ দা ডেইলি ক্যাম্পাস কে বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ছিল ক্যাম্পাস বহিরাগত মুক্ত করার। তার কিছুটা ফল আমরা দেখতে পারছি। মোটামুটি সব জায়গায় শৃঙ্খলা দেখলেও অনেক জায়গায় বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম তার পুরোপুরি হয়তো আমরা দেখতে পারছি না। আমরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ দেখতে পারছি এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি প্রশাসন এক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিবে। এছাড়াও রাস্তায় যেসব জায়গায় ব্লক করা হয়েছে সেসব জায়গায় একদিকে খালি দেখতে পারলেও অন্যদিকে গাড়ির গ্যাদারিং লেগে যাচ্ছে। আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দ্রুত গ্রহণ করা উচিত।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যত দিন সম্ভব, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রাখার চেষ্টা করা হবে।