১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩

জাবিতে ৩৭ বাস আটক, মোবাইল হারানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলে ক্ষতিপূরণ দাবি

  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থী ও তার পারিবারিক বন্ধুর সাথে অসদাচরণের জেরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাজধানী পরিবহনের ৩৭টি বাস আটক করে তুলনামূলক সাহিত্য ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। তবে বাস আটকাতে গিয়ে ফোন হারানো মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন এক শিক্ষার্থী। তিনি একই বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শরিফুল ইসলাম। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে বাসগুলো আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাড়ি আটকের পর রাত ৯টায় প্রক্টর অফিসে শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীরা সবগুলো বাস ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। কিন্তু শরিফুল শিক্ষার্থী গুগল পিক্সেল সেভেন মডেলের মোবাইল হারানোর মিথ্যা অভিযোগ তুলে ৪২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। তার সাথে ঐ বিভাগের ৫০তম ব্যাচের আল-আমিনসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জোর দাবি করেন। পরবর্তীতে জানা যায় তার ফোন ছিল মূলত ইনফিনিক্সে একটি মডেল। সংশ্লিষ্টরা জানান ফোন হারানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ফোন হারানোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম আমার মোবাইলটা হারিয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে আমরা মোবাইলটা খুঁজে পাই। এরপর সাথে সাথেই আমরা প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। 

আলোচনা সভায় তিনি গুগল পিক্সেল সেভেন মোবাইল ফোন হারিয়েছে বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে ইনফিনিক্স মোবাইল ফিরে পেয়েছেন। এ মিথ্যা অভিযোগ তোলার কারণ জানতে চাইলে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে আল আমিন মিয়া বলেন, আমাদের একজন জুনিয়রের ফোন হারিয়েছে বলে শুনেছিলাম। আমরা তার ফোনের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলাম। এছাড়া আমি কিছু জানি না। তার মোবাইলের মডেলের বিষয়ে সে নিজেই ভালো বলতে পারবে।

এদিকে তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের ভিপি সোহেল রানা বলেন, তার ফোনের মডেলের বিষয়ে আমরা পূর্বে অবগত ছিলাম না। সে যেটা দাবি করেছিল আমরা ভেবেছিলাম হয়তোবা তার ফোনের মডেল ওইটাই। কিন্তু একটা সময় পর সে আমাদেরকে জানায় তার ফোন খুঁজে পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, মোবাইল হারানোর অভিযোগ তুললে আমি মোবাইল ট্রেস করার জন্য তার কাছে ইএমআই নাম্বার চাই। কিন্তু সে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে বলে তার মোবাইলটি তার বন্ধু খুঁজে পেয়েছে। তারপর আমরা এ বিষয়ে আর কোনো আলোচনা তুলিনি।