প্রেসিডেন্ট আসাদ পলায়নের সঙ্গে কার তুলনা করলেন ঢাবি অধ্যাপক?
সিরিয়ায় দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রবিবার বিদ্রোহীদের অভিযানে বাশার আল-আসাদের পতন হয়েছে। রাশিয়ায় পালিয়ে গেছেন তিনি। স্বৈরশাসক আসাদের পলায়নের সঙ্গে তুলনা করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য। তিনি লিখেছেন, ‘আসাদও পালালো?’ প্রশ্ন শুনে এক আরবি বন্ধু বললো: ‘অবাক হচ্ছো কেন, পালানো তো সুন্নত (আরব দেশে মহাপুরুষদের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত)!’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে সেটি সরিয়ে নিয়েছেন এই অধ্যাপক। তবে এর আগে স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা এর সমালোচনা করছেন। তারা দাবি করে বলছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পলায়নের সঙ্গে নবীর হিজরতের তুলনা করেছেন এই ঢাবি অধ্যাপক। এটা কী ধর্ম অবমাননা নয়?
ঢাবি শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘শিশির ভট্টাচার্য কানাডায় থাকলেও তিনি এখনো ঢাবি শিক্ষক। কয়েকটা কমেন্টে দেখলাম, তিনি নাকি এখনো অনলাইনে ক্লাস নেন। ইসলাম ধর্মের ব্যাপারে তিনি আগে থেকেই কটূক্তি করে আসছেন। হিন্দু হয়েও তিনি ইসলাম ধর্মের কটূক্তি করেছেন। তিনি তো আগাগোড়া একজন সাম্প্রদায়িক, ইসলামবিদ্বেষী ও গোঁড়া ব্যক্তি। এগুলো দেখার পরেও এতদিন আপনারা তার ক্লাস করছেন কীভাবে? তার বিভাগের স্টুডেন্টরা অন্তত তাকে বর্জন করতে পারতেন। তাকে অধ্যাপক পদ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’
এদিকে, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামে একটি সংগঠন আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে সেটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্যকে মুফোঠোনে ও অনলাইনে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এ ধরনের কোনো বিষয় তিনি শুনেননি। তবে ওই শিক্ষক যদি এরকম কিছু করে থাকেন এবং এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা কোনো দাবি জানালে তা দেখবে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ঢাবি অধ্যাপক শিশির ভট্টাচার্য্য বিভিন্ন সময় ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। এর আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে নেতিবাচক ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।