পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করল রাবি শিক্ষার্থীরা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে উন্মুক্ত বিতর্কের প্রতিযোগিতায় কোটার পক্ষে কেউ অংশগ্রহণ করেননি কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিতর্কের নির্ধারিত সময়ের পর পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন সম্পন্ন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিনেট ভবনের উত্তর পাশের প্যারিস রোডে পোষ্য কোটার একটি প্রতীকী দাফন এবং মোনাজাত করা হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম পিটার, রাজশাহীর স্থানীয় একজন রিকশাচালক এবং ক্যাম্পাসের একজন ব্যবসায়ী।
পোষ্য কোটার প্রতীকী দাফন করে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ বলেন, ১৯৭৭ সালে পোষ্য কোটা চালু হয়েছিল। যার আমরা একটি প্রতীকীর মাধ্যমে আজ কবর রচনা করলাম। আমরা বিশ্বাস করি এ কবর রচনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় তাদের সুবুদ্ধির উদয় হবে।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, পোষ্য কোটা আমাদের যৌক্তিক একটি দাবি ছিল। এ আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক কিছু নেই। কিন্তু এ কোটার পক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতপন্থী শিক্ষক তারা সবাই এক। যাদের কাঁধে হাত রেখে আমরা জুলাই আন্দোলন করেছিলাম। তারা এখন এ পোষ্য কোটা আন্দোলনে নেই। এটিকে খুবই হতাশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের মূল মেনডেট ছিল কোটা বিপক্ষে আমরা একবারও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরুদ্ধে বলিনি। পোষ্য কোটা এখনো রাষ্ট্র সংস্কারের একটি অংশ।
উল্লেখ্য, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’র আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা। তবে পোষ্য কোটার পক্ষে কেউ অংশগ্রহণ করেননি।