রাবিতে প্রক্সিকাণ্ড, আড়াই মাসেও জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ PM
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে এলে ১৫ সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটি গঠনের আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন জড়িত র্যক্তিরা।
কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন ইতোমধ্যে তদন্তের কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তবে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে এখনো কথা বলেননি তারা। যদিও দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
‘রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা’ শিরোনামে প্রকাশিত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে চারজনকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা। তাদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সনি, আইন বিভাগের ফাহিম আল মামুন বর্ণ, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শোভন। নিউজটা প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ সহকর্মীর
এরপর নিউজের সত্যতা প্রমাণে ১৫ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমানকে সভাপতি করা হয়। সদস্য করা হয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান ও সাবেক আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে আছেন উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। যিনি প্রক্সিকাণ্ড নিয়ে নিউজ করেছেন, সেই সাংবাদিক মিশনের সাথেও কথা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। আমরা দ্রুত তাদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শেষ করব।’