দলীয়ভাবে নিয়োগ পাওয়া অযোগ্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ঢাবি
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিজ প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে বেকায়দায় পড়েন আওয়ামীপন্থিরা। গত ১৫ বছরে আওয়ামী শাসনামলে সারাদেশের ন্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও দলীয় প্রভাবে আওয়ামী পন্থীরা নিয়োগ বাগিয়ে নেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কর্মচারীদের বড় একটি অংশ আওয়ামী আশ্রয় প্রশ্রয়ে নিয়োগ পান।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৮০ শিক্ষক আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বয়কটের মুখে পড়েন। তবে আওয়ামী প্রভাবে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মকর্তারা এতদিন সুবিধা নিলেও এবার অযোগ্যদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যারা গত ১৫ বছরে প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন এমন বিতর্কিতদের বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এ প্রসঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, যাদের নিয়ে গুরুতর অভিযোগ আছে তাদের নিয়োগের পদ্ধতি এবং যোগ্যতা খতিয়ে দেখার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। যারা অনৈতিকভাবে সুবিধা নিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন কিংবা নিয়োগের পরে অন্য কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত ছিলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপ-উপাচার্য আরও বলেন, তবে এক্ষেত্রে কোন প্রকার অন্যায় যেন না হয় সেটাও আমরা খেয়াল রাখব। এসব প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রথমে অভিযোগ কতটা গুরুতর সেটা দেখা হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ বডি থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। কী অভিযোগ এবং কার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেখানে উভয়পক্ষের বক্তব্য গ্রহণ করে মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে আমরা পদক্ষেপ নেব। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব যেন না হয়, সেটার বিষয়ে সতর্ক থাকা হবে।