২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭

জাবিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রিকশাচালকসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ

জাবিতে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রিকশাচালকসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা কারিম রাচির মৃত্যুতে হওয়া মামলায় এক রিকশাচালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় রিকশাচালকের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে রাতে আশুলিয়া থানায় তাকে সোপর্দ করা হয়।

আটক রিকশাচালকের নাম আরজু মিয়া। তার সঙ্গে ক্রেতা মো.  মাসুদ ও দালাল মিলন মিয়াকেও পুলিশে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।

প্রক্টর বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটি ঘটনার দিন উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নিয়ে রিকশাটি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ ও তদন্ত কমিটির সহায়তায় প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত রিকশাচালককে শনাক্ত করা গেছে। তাকে তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জেনেছি। পরে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য স্বাক্ষ্য-প্রমাণ মিলিয়ে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি। তাকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ের করা মামলায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। 

তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাত ২টার দিকে তাকে প্রথম আটক করা হয়। তখন প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হই। অভিযুক্ত রিকশাচালক দালাল মিলনের সহায়তায় মাসুদের কাছে বিক্রি করে। আলামত নষ্ট করার জন্য রিক্সার বিভিন্ন পার্টস পরিবর্তন করেছেন তিনি। 

আরো পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে গাড়িভর্তি অপরিচিত মানুষ, সতর্ক অবস্থানে শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

তখনও রিকশাটিসহ কিছু প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুনরায় তাকে আটক করা হয় এবং তথ্য, উপাত্ত, পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া সিডিআরসহ অন্যান্য প্রমাণাদি বারবার যাচাই করা হয়েছে। মোটামুটি নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশে দেওয়া হয়েছে তাকে। পুলিশ তদন্ত করে বাকি ব্যাপারগুলো স্পষ্ট করবে।’

মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই অলক কুমার বলেন, তাকে সন্দেহের মূল কারণ- তার মোবাইল ট্রাক করে দেখা গেছে, তিনি ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগরে ছিলেন। বাকি আগে-পরের সময় ছিলেন ক্যাম্পাসের বাইরে। আবার ঘটনার পর রিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করেছে। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের সামনে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আহত হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রাচি। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে আন্দোলন করছেন তার সহপাঠীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।