২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৬

যেভাবে বিদ্যুতায়িত হয়েছিল আইইউটির পিকনিক বাস

পিকনিকের বাস  © সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ছয়টি যখন উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে পৌঁছায়, তখন বিদ্যুতের তারে স্পর্শে একটি বাস বিদ্যুতায়িত হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। পরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১৫ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের সংযোগ সড়ক দিয়ে বিআরটিসির দোতলা বাসটি রাস্তা প্রবেশ করে। এ সময় বিদ্যুতের সংযোগ তারের সঙ্গে বাসের ছাদ লেগে যায়। বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে অনেকে শিক্ষার্থী হুড়োহুড়ি করে নামতে চেষ্টা করে। এর মধ্যে একজনের শরীর বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। 

এ ছাড়া মুখ, চোখ, নাক পুড়ে গেছে অনেকের। ঘটনাস্থলে একজন মারা যায়। অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা ছয়টি দোতলা বিআরটিসি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে ৪৬০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের ‘মাটির মায়া’ নামের রিসোর্টে রওনা হই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদয়খালী এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা মেট্রো ব-১৫৭০৩৮ বাসটিতে রাস্তার পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে বাসের স্পর্শ হয়। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে তিনজন মারা যায়।’

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জোবায়ের আলম সাকিব (২২), ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের ছাত্র মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪) ও একই বিভাগের মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২)।

এ ঘটনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পিকনিক বাসের সঙ্গে বিদ্যুতের তার লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাস থেকে আমি বেরিয়ে পড়েছি। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেডিকেলে গেলে বিস্তারিত বলা যাবে।’