২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৭

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ রাবি অধ্যাপকের 

অধ্যাপক ড. মো. সাহাল উদ্দীন  © টিডিসি সম্পাদিত

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ‘৮ প্রকাশনার সবটিতেই চৌর্যবৃত্তি করে পদোন্নতি অধ্যাপকের, সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাহাল উদ্দীন।

প্রতিবাদলিপিতে মো. সাহাল উদ্দীন বলেছেন, একটি পুরানো গবেষণা প্রবন্ধ নতুনভাবে Turnitin বা Ithenticate সফটওয়্যার দ্বারা চেক করলে প্লেজিয়ারিজমের হার অনেক বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। এটা নিয়ে কোনো প্রকাশনা জালিয়াতি বা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ আনয়ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন,  ২১ নভেম্বর আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত ‘৮ প্রকাশনার সবটিতেই চৌর্যবৃত্তি করে পদোন্নতি অধ্যাপকের, সর্বোচ্চ ৯৩ শতাংশ’ শিরোনামে খবরের প্রতি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর (আমার) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। খবরটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য ২টি ও অধ্যাপক পদের জন্য ৬টি সর্বমোট ৮টি প্রকাশনার কোনোটি ১২-১৩ বছর আবার কোনোটি ৬-৮ বছর আগে বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধকার যখন প্রবন্ধগুলো প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট জার্নালগুলোর প্রধান সম্পাদকের নিকট জমা দেন তখন ওই জার্নালসমূহের নিয়মকানুন মেনেই জমা দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, জার্নালসমূহের সম্পাদনা পরিষদ যাচাই বাছাই করে একাধিক রিভিউয়ারের ইতিবাচক মতামত বিবেচনা করেই প্রবন্ধগুলো প্রকাশ করেছিল। প্লেজিয়ারিজম শনাক্তের বিশ্বব্যাপী পরিচিত আধুনিক সফটওয়্যার Ithenticate-এর ব্যবহার আজ থেকে ১২-১৩ অথবা ক্ষেত্রমত ৬-৮ বছর আগে সে সময়ের জার্নালসমূহের সম্পাদনা পরিষদ করেছিল কিনা সেটি প্রবন্ধকারের জানার বিষয় নয়।

প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ আনয়ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি একটি পুরানো গবেষণা প্রবন্ধ নতুনভাবে Turnitin বা Ithenticate দ্বারা চেক করা হয় তবে এটি বর্তমান ডাটাবেজ বা ওয়েবে বিদ্যমান তথ্যের সাথে তুলনা করে প্লেজিয়ারিজমের হার নির্ধারণ করে থাকে। এক্ষেত্রে সেই পুরানো গবেষণা প্রবন্ধ থেকে কোনো অংশ অন্য কোনো গবেষণা প্রবন্ধে ব্যবহার হলে বা তার পরে অনুরূপ কোনো প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে বা নিজের গবেষণা প্রবন্ধ অন্য কোনো ওয়েবসাইটে বিদ্যমান হলে সেসব তথ্যের সাথে মিল থাকা সাপেক্ষে একটি পুরানো গবেষণা প্রবন্ধকে যখন নতুনভাবে চেক করা হয় তখন তার প্লেজিয়ারিজমের হার অনেক বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। আর তাই এভাবে পুরানো গবেষণা প্রবন্ধসমূহ নতুনভাবে চেক করে প্রাপ্ত প্লেজিয়ারিজমের হার দিয়ে কোনো প্রকাশনা জালিয়াতি বা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ আনয়ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

একটি উদাহরণ টেনে তিনি লিখেছেন, Autophagy-এর উপর গবেষণা করে ২০১৬ সালে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী Yoshinori Ohsumi -এর একটি পুরানো গবেষণা প্রবন্ধ ও তার অদ্যকার Similarity Index (৯৪%) আপনার জ্ঞাতার্থে প্রেরণ করা হলো।

নিজ বিভাগের (আইন) সহকর্মীকে দায়ী করে তিনি লিখেছেন, প্রকৃত সত্য হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের কর্মরত আমার সহকর্মী ২-৩ জন শিক্ষক আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সভাপতি পদে নিয়োগ লাভের জন্য লালায়িত ছিলেন। তাঁরা উক্ত বিভাগের সভাপতি পদে নিয়োগ লাভ করতে না পেরে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ জাতীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানহানিকর, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ ছড়াচ্ছেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অসম্মান বা ছোট করা কিংবা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি। 

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে ঘটনাক্রম এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলির সাথে প্রতিবাদলিপিতে সমর্থিত বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে।