ঢাবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে হাইকোর্টে রিট
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্বারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরও। এবার তারা ঢাবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টে রিট করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, ভর্তি কমিটি ও অন্যান্যদের বিবাদী করা হয়েছে। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন। তিনি বলেন, ‘মামলা হয়ে গেছে, ফাইলিং হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই শুনানি হবে।’
জানা গেছে, উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করেছেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, অ্যাডভোকেট নাইম সর্দার, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন। আর রিটকারীরা হলেন আবদুল্লাহ আবরার ফাহিম, মো. ফারহান শাহরিয়ার নাইম, আশরাফুল হক শোভন, তাসমিয়া আলম সুনেহা, মারিয়া সুলতানা প্রমুখ। তারা ও একদল শিক্ষার্থী ঢাবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে সেকেন্ড টাইমের জন্য আন্দোলন করছেন তারা। সরকার পতনের পর অনেকের অযৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও মেনে নেয়নি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডেও সেকেন্ড টাইম আছে। বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোয় সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়াও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে তা আছে। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন হয়েছে যে সেকেন্ড টাইম দেয়া যাবে না। আমরা স্বাধীন দেশে কোনো বৈষম্য মানি না। আমাদের দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতেই হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ‘সেকেন্ড টাইম’ সুযোগে দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাসমিয়া আলম সুনেহা বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক। কিছুদিন আগেও দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়া যেত। এখন কেন যাবে না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তো দ্বিতীয় সুযোগ রয়েছে। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার আন্দোলন হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।