শহীদদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন নেই চবিতে
আগামীকাল ১৮ নভেম্বর ৫৯তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দিবস পালন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া চবির ২ শিক্ষার্থীসহ সকল শহিদদের কথা স্মরণে রেখেই খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজন সম্পর্কে জানান চবির তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার প্রশাসক অধ্যাপক ড. শহীদুল হক।
এসময় তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন ছাত্র শহীদ হয়েছেন। এছাড়া অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের রক্ত এখনো শুকায়নি। তাই শহীদদের এই আত্মত্যাগের কথা চিন্তা করে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে আমরা এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সবসময়ের ন্যায় এবারও আনন্দ শোভাযাত্রা, র্যালি, কেক কাটা ও আলোচনা সভা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য ভোজের ব্যবস্থা আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে হলের এই উন্নত ভোজ উপভোগ করতে পারেন।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হলেও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কেন দেওয়া হয়নি- জানতে চাইলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সবক্ষেত্রেই কিছু ব্যয় সংকোচন করে সেই অর্থ শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য কোনো খাতে খরচ করতে। ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন করতে গেলে অনেক বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। আর তারা সবাই কীভাবে আসবে? কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তো এরকম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবস উপলক্ষ্যে ভোজের আয়োজন করা হয় বলে মনে হয় না।
প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চবির জিরো পয়েন্ট থেকে একটা আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হবে। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কেক কাটা হবে। বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।