একযুগ পর শিবিরের আয়োজনে নবীনবরণ, সংবর্ধনা পেলেন দেড় হাজার শিক্ষার্থী

দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয় ছাত্রশিবির চবি শাখা
দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয় ছাত্রশিবির চবি শাখা  © সংগৃহীত

২০১২ সালের পর থেকে প্রকাশ্যে নবীনবরণের আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা। তবে এবার প্রায় একযুগ পর নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফ্রেশার্স রিসিপশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে প্রায় দেড় হাজার নবীন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয় ছাত্রশিবির।  

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত  বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেইট সংলগ্ন এজে কনভেনশন হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠান সাড়া ফেলে ক্যাম্পাসে।

চবি শাখা ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক হাফেজ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্লানিং ও ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক সম্পাদক ডা. ওসামা রায়হান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা ইসলামি ছাত্রশিবিরকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করার সুযোগ পাইনি। শিক্ষার্থীরাও ছাত্রশিবির সম্পর্কে জানতে পারেনি। স্বৈরাচারী সরকার দেশে এক ধরণের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে রেখেছিল। বর্তমানে আমরা আমাদের আদর্শ প্রচার করার সুযোগ পেয়েছি। তবে আমরা কোন শিক্ষার্থীকে জোরজবরদস্তি করে বলি না তাকে ছাত্রশিবির করতে হবে। সকলে দলে দলে এসে শিবিরে যোগ দেবে এমনটাও আমরা চাই না। আমরা চাই আপনি একজন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবেন।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বরকত আলী বলেন, মানুষ সামাজিক জীব। তবে আমরা মানুষ হলেও আমাদের মধ্যে পশুত্বের ভাব রয়েছে। এই পশুত্ব দূর করতে হলে আমাদেরকে আল্লাহর গাইডলাইন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। এ ছাড়া একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের ৫টি বিষয় খুব গুরুত্ব দিতে হবে। সেগুলো হলো, চরিত্র, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ, সক্ষমতা এবং সাহস।

সমাপনী বক্তব্যে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় চাই। আমাদের সংগঠন শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবো৷

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদেরকে টিশার্ট, বই, প্যাড-কলম, টেবিল ক্যালেন্ডার, শিবিরের পরিচিতি এবং নারী শিক্ষার্থীদেরকে ভ্যানিটিব্যাগ উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের বক্তব্যের মাঝে মাঝে ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশনা করেন দুর্নিবার শিল্পীগোষ্ঠী শিল্পীবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ