সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির    সংবাদ সম্মেলন
ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত করতে এবং সরকারের সকল বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি উত্থাপন করেন।

সংগঠনটির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের প্রবেশে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তারা দাবি করেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা পরিবেশগত অজুহাতে করা হচ্ছে, যা অযৌক্তিক এবং বাস্তবতার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।

স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা একটি বিদেশি জার্নালের রেফারেন্স দিয়ে দাবি করেছেন যে, পর্যটকরা কোরাল নিয়ে যায়, ফলে দ্বীপের কোরাল ক্ষয় হয়ে সেন্টমার্টিন ডুবে যাবে। তিনি বলেন, এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক এবং মিথ্যা। দ্বীপের কোরালগুলো পানির নিচে থাকে এবং মানবসৃষ্ট ক্ষতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তিনি আরও জানান, কোরাল নিয়ে যাওয়ার দাবি মিথ্যা এবং এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা বিদেশি পরামর্শে চলছেন, কিন্তু দেশের মানুষের চাহিদা ও পরামর্শে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তারা বলেন, দ্বীপের কোরাল ক্ষয়ের কথা বলা হলেও বিজ্ঞান এর বিপরীত প্রমাণ দিচ্ছে, যেখানে কোরাল প্রতি বছর বৃদ্ধি পায়। তবে সরকার বা পরিবেশবাদীরা এ বিষয়টি উপেক্ষা করছে।

এছাড়া, স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াকুব মজুমদার দ্বীপের পরিবেশের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বেওয়ারিশ কুকুরের উপস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, দ্বীপে ৫-৬ হাজার বেওয়ারিশ কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তবে, এ বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

সংগঠনটি সতর্ক করেছে যে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং দ্বীপে ভ্রমণ বন্ধ রাখলে ভবিষ্যতে এটি জনশূন্য হয়ে পড়তে পারে। এর ফলে, পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার ও ভারতের জেলেরা দ্বীপটি দখলের চেষ্টা করতে পারে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বড় একটি ঝুঁকি হতে পারে।

‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ দাবি করেছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত এবং অবস্থানের উপর সকল ধরনের সরকারি বাধা তুলে নেওয়া উচিত, কারণ এটি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


সর্বশেষ সংবাদ